ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোয়াশা

কলেজ ছাত্রের মরদেহ হাসপাতালে রেখে উধাও বন্ধু

অনলাইন ডেস্ক ::
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছে তার বন্ধু মোশাররফ হোসেন। বুধবার সকালে আরমান সিদ্দিকী নামে ওই ছাত্রের মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তার বন্ধু। মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

পুুলিশ ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে-মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে মুমুর্ষ অবস্থায় আরমান সিদ্দিকী নামে এক কলেজ ছাত্রকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান তার বন্ধু মোশাররফ হোসেন। তখন বন্ধু চিকিৎসকদের কাছে দাবি করেছিল আরমান ‘কারপিন’ লেখা একটি বোতলে থাকা পানিয় পান করেছেন। তারপর রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তিনি তাকে হাসপাতালে আনেন। কিন্তু মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরমান সিদ্দিকী মারা গেলে পালিয়ে চট্টগ্রাম চলে যায় বন্ধু মোশাররফ হোসেন। মৃত্যুও রহস্য উম্মোচনে পুলিশের সঠিক তদন্ত দাবি করেছে তার পরিবার।
নিহত আরমান সিদ্দিকী কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ঘোনার পাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসী বেলাল উদ্দিনের ছেলে। সে রামু ক্যান্টেনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। এছাড়া তার পালিয়ে যাওয়া বন্ধু মোশাররফ একই ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু বাজার এলাকার আবু সুফিয়ানের ছেলে।
নিহত আরমানের মামা জমির উদ্দিন জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে আরমানের মরদেহ পায়। কারপিন খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিল চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়া বন্ধু। কিন্তু সুস্থ সবল একটি ছেলে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেবেন কেন। এখানে কোন কিছু আড়াল করা হচ্ছে। না হলে বন্ধু মোশাররফ পালিয়ে গেছে কেন। সে এখানে থাকতে পারতো। তাকে আটক করতে পারলে এ হত্যাকান্ডের রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবি জমিরের।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার সন্ধ্যায় পালিয়ে যাওয়া বন্ধু মোশাররফ হোসেন জানান, কারপিন খেয়ে তার বন্ধু মারা গেছে। চট্টগ্রামে জরুরী কাজ থাকায় তিনি চলে গেছেন। এর বাইরে কিছু হয়নি বলে দাবি করেন মোশাররফ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। দৈ.কক্সবাজার

পাঠকের মতামত: